অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ব্যবসায়ীকে পুলিশে সোপর্দ
ফাইল ছবি
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়ে বিক্রয়ের জন্য রাখা ১৫০ কেজি মরা মুরগি জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে মরা মুরগি বিক্রয়ের অপরাধে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক বন্ধ রাখার পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। অভিযানে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল। তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে অবস্থিত মেসার্স আল্লাহর দান চিকেন হাউসের ভেতরে একটি ফ্রিজ দেখা গেছে। ওই ফ্রিজের ভেতর প্রায় ১৫০ কেজি মুরগি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী জানান, রাত্রে মুরগি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় দুর্বল প্রকৃতির মুরগি প্রক্রিয়াজাত করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়। দিনের বেলায় সেগুলো বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে কিছুটা কম দামে বিক্রি করা হয়।
সহকারী পরিচালক বলেন, প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় রসিদ বই চেক করে দেখা যায়, প্রক্রিয়াজাত করা ফ্রিজের সোনালি মুরগি ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। অন্য আরেক কর্মচারী জানান, ফ্রিজের এই মুরগিগুলো তারা নিজেরা ভাগ করে বাসায় খাবারের জন্য নিয়ে যান। তবে তাদের জেরার এক পর্যায়ে একজন কর্মচারী মরা মুরগি ফ্রিজে রেখেছেন বলে স্বীকার করেন। এ অপরাধের কারণে হাত জোড় করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে আল্লাহর দান চিকেন হাউস নামে প্রতিষ্ঠানটিতে অনৈতিকভাবে মুরগির দাম বাড়ানোর প্রমাণও মিলেছে। দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি পাইকারি বিক্রেতা হিসেবে নিজেকে খুচরা বিক্রেতা সাজিয়ে নিজের কাছেই মুরগি বিক্রি করার মাধ্যমে দাম বাড়ান। তাদের মুরগি ক্রয়ের ক্যাশ মেমো চেক করে দেখা যায়, ১৮৩ টাকা এবং ১৯৫ টাকা কেজি দরে সোনালি মুরগি ক্রয় করা হলেও বিক্রি করা হচ্ছে ২৬০ টাকা দরে। এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লাভ করছেন ওই ব্যবসায়ী।
এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের মালিক সুমনকে তেজগাঁও থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ এবং মামলা করা হয়।