শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য জাতিসংঘের দরজা খোলা। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য ও সহিংসতার উস্কানির মিথ্যা খবর শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে কথা বলেছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন উপ-মুখপাত্র ফারহান হক।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতি- জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারীর জানতে চান, সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেখামাত্র গুলির নির্দেশের কারণে বাংলাদেশে ছাত্রদের বিক্ষোভে যে বর্বরতা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তে আগামী সপ্তাহে ঢাকা যাচ্ছে জাতিসংঘের একটি তদন্ত দল। এ বিষয়ে মহাসচিবের অভিমত কী?
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, তদন্ত দলটি কী কাজ হবে তা আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
পরে ইমেইলে পাঠানো এই প্রশ্নের বর্ধিত জবাবে ফারহান হক বলেন, মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এবং মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের অফিস থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য যে সমর্থন দেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে ব্যাপক পরিসরে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে জবাবদিহিতার বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত। আগামী সপ্তাহ থেকে একটি দল ঢাকা সফর করবে যাতে সহায়তার ক্ষেত্র এবং সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যায়। হাইকমিশনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের মানুষের একটি সফল ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য খুবই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা মানবাধিকার রক্ষার শক্তিশালীকরণে সহায়ক হবে।
মুশফিক তার দ্বিতীয় প্রশ্নে জানতে চান, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে জাতিসংঘ তাদের একজন অংশীদার মনে করে- এমন বিবেচনায় বাংলাদেশের স্থিতিশীলতাকে সমর্থন দিতে দেশটির সঙ্গে আরও সম্পৃক্ততা বাড়াবেন কিনা মহাসচিব? এদিকে, ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশের সাবেক একনায়ক ও প্রধানমন্ত্রী বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছেন এবং সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছেন।
জবাবে মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, আপনি বাংলাদেশকে সমর্থনের যে কথা বলেছেন সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, প্রয়োজন অনুসারে বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণকে আমরা সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।